ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৮/০৯/২০২৪ ১০:২৩ এএম

ময়মনসিংহে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক সাইদুল ইসলাম (৪০) নামের এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার এশার নামাজের পর জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়েছে।

সাইদুল মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। নগরীর গোলপুকুর পাড় এলাকার বাসিন্দা আবদুস ছালামের ছেলে তিনি।

সাইদুলের স্বজনরা জানায়, গত সোমবার রাত ১০টার দিকে নগরের গোলপুকুর পাড় এলাকায় সাইদুল ইসলামের চেম্বারে অভিযান চালিয়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা তাকে আটক করেন। পরে রাত ১টার দিকে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালের উপপরিচালক জাকিউল ইসলাম বলেন, সাইদুল ইসলামকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এনেছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। হাসপাতালের আরেকটি সূত্র জানায়, শুধু সাইদুল ইসলাম নন, একই সঙ্গে আরো পাঁচজনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যালে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে জমি ও বালুমহাল দখল, স্থানীয় ব‍্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি, অস্ত্র প্রদর্শনসহ নানা অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি যৌথ বাহিনীর কাছে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা হয়।

জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার সাইদুলের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে বিকেল তিনটার পর পরিবারের কাছে সাইদুলের লাশ হস্তান্তর করা হয়।
মহানগর যুবদলের সভাপতি মোজাম্মেল হক (টুটু) প্রথম বলেন, সোমবার রাতে ধরে নিয়ে যায়। পরে সকালে মৃত্যুর খবর জানতে পারি। পরিবারের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, কোমর থেকে শরীরের নিচের অংশে আঘাতের চিহ্ন ছিল। আগে থেকে হৃদ্‌রোগে ভুগছিলেন সাইদুল।


কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, আটকের পর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর সাইদুল মারা যান। সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সুরতহালে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে কি না, তা তিনি বলতে চাননি। সূত্র কালের কন্ঠ

পাঠকের মতামত

যে কারনে মামলার মুখে পড়তে পারে ইউনিয়ন ব্যাংক

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ‘নেগোসিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্ট’ এ মামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট ...